ববি রানী রায় স্টাফ রিপোর্টার :
শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভারতীয় আদা আমদানি করা হয়েছে।
শনিবার ফেব্রুয়ারি আমদানি করা দুই টন ভারতীয় আদাভর্তি একটি ট্রাক নাকুগাঁও স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। এর আগে গতবছর ১৫ জুলাই ভারত থেকে দেড় টন শুকনো মরিচের একটি চালান বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আদা আমদানি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর বলে মনে করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহৎ নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমোদন থাকলেও শুধু পাথর ও কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বন্দরটি। ভারতের ওপারে আইনি জটিলতায় এ বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি প্রায় বন্ধ হয়েই গেছে। মাঝেমধ্যেই নানা জটিলতাই পাথর আমদানিও বন্ধ থাকে। পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে অচল হয়ে পড়ে এ বন্দর। এতে বছরের দীর্ঘ সময় বেকার থাকতে হয় শ্রমিকদের। ব্যবসায়ীরাও অলস হয়ে পড়ে। তাই বহুদিন ধরেই সব ধরনের পন্য আমদানি রপ্তানির দাবি করে আসছে। সর্বশেষ এখানে নতুন করে আমদানিতে আরও একটি পণ্য হিসেবে যোগ হলো আদা। বর্তমানে শুধুমাত্র পাথর আমদানি চলমান থাকলেও সম্প্রতি শুকনো মরিচের পর শনিবার নতুন করে যোগ হলো আদা।
আদা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের মেঘালয়ের ব্যবসায়ীদের কাছে ৯ টন আদা আমদানির জন্য এলসি করা হয়েছে। এর মধ্যে নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার দুই টন আদা আমদানি করলাম। সামনে বাকি আদা পর্যায়ক্রমে আসবে।
আমদানি রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, আদা আমদানিতে আমাদের জন্য একটা সু সংবাদ। আমরা চাই সবধরনের পন্য আমদানি রপ্তানির দ্বার খোলে দেয়া হউক এ বন্দর দিয়ে।
এ ব্যাপারে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলকভাবে এ বন্দর দিয়ে দুই টন আদা আমদানি করেছেন। এ বন্দরে সকল বৈধপণ্য আমদানি করতে সরকারিভাবে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।