ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন!

হাজী কাউছার, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০১ বার পড়া হয়েছে

হাজী কাউছার
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দীর্ঘ দিন যাবত ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন (ধাতব মুদ্রা) অচল।

দীর্ঘ দিন ধরে নবীনগরে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন অচল থাকায় এখন নবীনগরে প্রায় দেখা মেলে না ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েনের। এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে নবীনগরের ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

ভিক্ষুকও এখন ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন নিচ্ছেন না। নবীনগর উপজেলা সংলগ্ন পাশবর্তী মুরাদনগর উপজেলা, বাঞ্চারামপুর উপজেলা, কসবা উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলায় ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন চললেও নবীনগরে অচল।

গত ১৭ জানুয়ারী ২০১৫ সালের রোববারে সচিবালয়ে ‘ভ্যাট সংশোধন আইন’ সংক্রান্ত বৈঠকে তৎকালিন অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামীতে ৫ টাকার নিচে কোন মুদ্রা না রাখার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।

নতুন ৫ টাকার কাগজে মুদ্রা বাজারে ছাড়া হবে এবং তার আগে ৫ টাকা মানের মুদ্রার নীচে যে মুদ্রা আছে (১ ও ২ টাকা) সেগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে।

দৈনিক প্রথম আলোতে অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে গত ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সালের সোমবারে প্রকাশিত নিউজের হেডলাইন ছিল ১-২ টাকার কয়েন ও নোট থাকবে না- অর্থমন্ত্রী।

দৈনিক প্রথম আলো সহ বাংলাদেশর অন্যান্য জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে এই বিবৃত্তি দেখানো হয়েছিল।

এই খবরটি নবীনগরে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ১ টাকা ও ২ টাকা কয়েন দিয়ে ক্রেতা বা বিক্রেতাদের কেউ লেনদেন করতে চায়ছিল না।

তাছাড়া নবীনগর উপজেলাস্থ ব্যাংক গুলোতে প্রথম দিকে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল।

১ টাকা ও ২ টাকার কয়েনের অযুহাতে নবীনগরে অপশক্তিরা জিইয়ে উঠে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

সেই থেকে ১ টাকা ও ২ টাকা কয়েন নিয়ে প্রায়ই নবীনগরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াও গড়িয়েছিল।

এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নবীনগরে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন অচল।

এতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে নবীনগরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের।

এখন প্রায় ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ নবীনগর উপজেলায় এসে পড়ছেন বিপাকে।

অনেকে আবার নবীনগর থেকে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন স্বল্প মূল্যে বা অর্ধেক দামে কিনে পাশবর্তী উপজেলায় গিয়ে লেনদেন করছেন।

নৌকা ঘাটস্থল ব্যবসায়ী মুসা মিয়া জানান, অহন ১ টেহা ও ২ টেহার পুইসা চলে না, এতে কইরা কাস্টমারের লগে অনেক সমতা হয়।

নবীনগর বড় বাজারের মুদি দোকানি জানান, আগে ব্যাংকে ১ টেহা ও ২ টেহা পুইসা নিতো অহন নেনা যেই কারনে আমরা নিই না।

কাজী টুটুল নামে একজন ক্রেতা বলেন, এখন ৯/৪ টাকার দামের কোন কিছু কিনলে দোকানিরা ১০/৫ টাকা রেখে দেয়। ১ টাকা ফেরত দিতে চায় না।

দোকানিরা বলে যে ১ টাকা নাকি অচল। অথবা আমি যদি দুই টাকার নোট ৪ টি দিয়ে সাথে ১ টাকার একটি কয়েন দেই তাহলে তারা পণ্য বিক্রি করতে চায় না।

নবীনগরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ কয়েন সমস্যায় ভুগলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না কেউ।

সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যাংকগুলোতে যদি ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন নিতো এবং স্থানীয় প্রশাসন নজর দিলে এর থেকে উপকৃত হতাম।

দ্রুত নবীনগরের কয়েন সমস্যার সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন নবীনগরবাসী।

Translate »

নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন!

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

হাজী কাউছার
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দীর্ঘ দিন যাবত ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন (ধাতব মুদ্রা) অচল।

দীর্ঘ দিন ধরে নবীনগরে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন অচল থাকায় এখন নবীনগরে প্রায় দেখা মেলে না ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েনের। এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে নবীনগরের ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

ভিক্ষুকও এখন ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন নিচ্ছেন না। নবীনগর উপজেলা সংলগ্ন পাশবর্তী মুরাদনগর উপজেলা, বাঞ্চারামপুর উপজেলা, কসবা উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলায় ১ টাকা ও ২ টাকা মূল্যের কয়েন চললেও নবীনগরে অচল।

গত ১৭ জানুয়ারী ২০১৫ সালের রোববারে সচিবালয়ে ‘ভ্যাট সংশোধন আইন’ সংক্রান্ত বৈঠকে তৎকালিন অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামীতে ৫ টাকার নিচে কোন মুদ্রা না রাখার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।

নতুন ৫ টাকার কাগজে মুদ্রা বাজারে ছাড়া হবে এবং তার আগে ৫ টাকা মানের মুদ্রার নীচে যে মুদ্রা আছে (১ ও ২ টাকা) সেগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে।

দৈনিক প্রথম আলোতে অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে গত ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সালের সোমবারে প্রকাশিত নিউজের হেডলাইন ছিল ১-২ টাকার কয়েন ও নোট থাকবে না- অর্থমন্ত্রী।

দৈনিক প্রথম আলো সহ বাংলাদেশর অন্যান্য জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে এই বিবৃত্তি দেখানো হয়েছিল।

এই খবরটি নবীনগরে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ১ টাকা ও ২ টাকা কয়েন দিয়ে ক্রেতা বা বিক্রেতাদের কেউ লেনদেন করতে চায়ছিল না।

তাছাড়া নবীনগর উপজেলাস্থ ব্যাংক গুলোতে প্রথম দিকে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল।

১ টাকা ও ২ টাকার কয়েনের অযুহাতে নবীনগরে অপশক্তিরা জিইয়ে উঠে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

সেই থেকে ১ টাকা ও ২ টাকা কয়েন নিয়ে প্রায়ই নবীনগরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াও গড়িয়েছিল।

এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নবীনগরে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন অচল।

এতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে নবীনগরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের।

এখন প্রায় ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ নবীনগর উপজেলায় এসে পড়ছেন বিপাকে।

অনেকে আবার নবীনগর থেকে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন স্বল্প মূল্যে বা অর্ধেক দামে কিনে পাশবর্তী উপজেলায় গিয়ে লেনদেন করছেন।

নৌকা ঘাটস্থল ব্যবসায়ী মুসা মিয়া জানান, অহন ১ টেহা ও ২ টেহার পুইসা চলে না, এতে কইরা কাস্টমারের লগে অনেক সমতা হয়।

নবীনগর বড় বাজারের মুদি দোকানি জানান, আগে ব্যাংকে ১ টেহা ও ২ টেহা পুইসা নিতো অহন নেনা যেই কারনে আমরা নিই না।

কাজী টুটুল নামে একজন ক্রেতা বলেন, এখন ৯/৪ টাকার দামের কোন কিছু কিনলে দোকানিরা ১০/৫ টাকা রেখে দেয়। ১ টাকা ফেরত দিতে চায় না।

দোকানিরা বলে যে ১ টাকা নাকি অচল। অথবা আমি যদি দুই টাকার নোট ৪ টি দিয়ে সাথে ১ টাকার একটি কয়েন দেই তাহলে তারা পণ্য বিক্রি করতে চায় না।

নবীনগরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ কয়েন সমস্যায় ভুগলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না কেউ।

সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যাংকগুলোতে যদি ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন নিতো এবং স্থানীয় প্রশাসন নজর দিলে এর থেকে উপকৃত হতাম।

দ্রুত নবীনগরের কয়েন সমস্যার সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন নবীনগরবাসী।