ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo হারিয়ে যাওয়া শিশু সাদিককে পাঠানো হচ্ছে রাজশাহী বেবী হোমে  Logo শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০১:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকাঃ

নতুন কারিকুলাম বাতিল, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু, সাংকেতিক চিহ্ন পদ্ধতি পরিহার, শিক্ষার্থীদের দলগত কাজের নামে ডিভাইসমুখী হতে আটকানো সহ ৮ দফা দাবিতে সচেতন অভিভাবকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ৩ শতাধিক অভিভাবক নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। অবশ্য ধীরে ধীরে এই সংখ্যা অনেক বড় হয়ে যায়।

উক্ত মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, সাংবাদিক মোঃ শাহ আলম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ অসংখ্য অভিভাবক যোগ দেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেন।

সারাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাণের দাবি নতুন কারিকুলাম বন্ধের দাবি জানিয়ে রাখাল রাহা বলেন, ‘একটি কারিকুলাম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে এ কারিকুলামে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এসব হয়েছে কি না আমরা জানি না। যদি হতো তাহলে এমন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হতো ন।

রাখাল রাহা বলেন, আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ কেউ কেউ বলেছেন, ‘আমরা অনেক শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেছি।’ কিন্তু কার সাথে কথা হয়েছে আমরা তাদের নাম জানিনা। এমনকি কোন বিষয়ে কথা হয়েছে সেটাও জানিনা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই কারিকুলামের প্রকল্প বন্ধ করুন। দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এ কারিকুলাম বন্ধ করার বিকল্প নেই। কারণ একজন শিক্ষার্থী যদি গণিত না শেখে, বিজ্ঞান না শেখে, তাহলে সে প্রকৃত মেধাবী হতে পারবে না। সে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা আশা করছি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো শুনবেন, পড়বেন এবং বুঝবেন।

অন্যতম শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সাংবাদিক মোঃ শাহ আলম খান বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একজন মানুষ যেমন মেরুদণ্ড ছাড়া সুস্থভাবে চলতে পারে না, ঠিক তেমনি জাতি প্রকৃত ও কার্যকরী শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারে না।

কিন্তু আমাদের দেশে চালু হওয়া এই নতুন কারিকুলাম শিক্ষার মান ধ্বংস করে জাতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। যা বাস্তব রুপ আমি আপনি সবাই ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

শাহ আলম খান আরোও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী কি শিখলো তার বাস্তব রুপ দেখা যায় তার পরীক্ষা ও ফলাফল দেখে। কিন্তু এখন যে পদ্ধতি চালু হয়েছে, তার মধ্যে না আছে কোনো পরীক্ষা, না আছে কোনো মূল্যায়ন। তাহলে আমাদের বাচ্চাদেরকে আপনারা কি শেখাচ্ছেন ? জাতি ধ্বংস করা নতুন এই কারিকুলাম দিয়ে আমাদের বাচ্চাদের আপনারা শিক্ষা প্রতিবন্ধী বানিয়ে ফেলছেন।’

সমাবেশে অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ অভিভাবকরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অধ্যায়নমুখী করতে হবে। যে ইন্ডিকেটর দিয়ে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটি তো প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা পড়তে জানে না, সংখ্যা চেনে না। তাদের এসব ইন্ডিকেটর শেখাতে হয়। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের এসব শিখিয়ে তাদের প্রতিবন্ধী করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, নতুন এ কারিকুলামে আমাদের ব্যয়ও বাড়ছে। আমরা এত ব্যায় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিদিন কাগজ, কলম ও পেন্সিলের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের দিকেও রাষ্ট্রকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এছাড়াও বিভিন্ন অভিভাবক বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন। সবমিলিয়ে তাদের সকলের দাবীসমূহ একটাই। আর তা হলো নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ তাদের ৮ দফা যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে হবে।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ৮ দফা দাবিসমূহঃ

১.শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।

২.নম্বারভিত্তিক ২টা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নাম্বার) চালু রাখতে হবে এবং ফ্রাসটেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (৪০ নাম্বার) হিসাবে ধরতে হবে।

৩.নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ থাকতে হবে।

৪.ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুৰ্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নাম্বার ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।

৫.শিখন ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে।

৬.শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে।

৭.প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি ২টা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে।

৮.সব সময়ে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

উল্লেখ্য, নতুন কারিকুলাম চালু হওয়ার পর থেকেই সচেতন অভিভাবক সমাজ সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই আন্দোলন চালিয়ে আসছে। নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে এই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক রাখাল রাহা বেশ জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছেন। ইতোপূর্বে তারা ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

Translate »

নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকাঃ

নতুন কারিকুলাম বাতিল, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু, সাংকেতিক চিহ্ন পদ্ধতি পরিহার, শিক্ষার্থীদের দলগত কাজের নামে ডিভাইসমুখী হতে আটকানো সহ ৮ দফা দাবিতে সচেতন অভিভাবকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ৩ শতাধিক অভিভাবক নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। অবশ্য ধীরে ধীরে এই সংখ্যা অনেক বড় হয়ে যায়।

উক্ত মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, সাংবাদিক মোঃ শাহ আলম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ অসংখ্য অভিভাবক যোগ দেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেন।

সারাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাণের দাবি নতুন কারিকুলাম বন্ধের দাবি জানিয়ে রাখাল রাহা বলেন, ‘একটি কারিকুলাম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে এ কারিকুলামে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এসব হয়েছে কি না আমরা জানি না। যদি হতো তাহলে এমন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হতো ন।

রাখাল রাহা বলেন, আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ কেউ কেউ বলেছেন, ‘আমরা অনেক শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেছি।’ কিন্তু কার সাথে কথা হয়েছে আমরা তাদের নাম জানিনা। এমনকি কোন বিষয়ে কথা হয়েছে সেটাও জানিনা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই কারিকুলামের প্রকল্প বন্ধ করুন। দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এ কারিকুলাম বন্ধ করার বিকল্প নেই। কারণ একজন শিক্ষার্থী যদি গণিত না শেখে, বিজ্ঞান না শেখে, তাহলে সে প্রকৃত মেধাবী হতে পারবে না। সে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা আশা করছি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো শুনবেন, পড়বেন এবং বুঝবেন।

অন্যতম শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সাংবাদিক মোঃ শাহ আলম খান বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একজন মানুষ যেমন মেরুদণ্ড ছাড়া সুস্থভাবে চলতে পারে না, ঠিক তেমনি জাতি প্রকৃত ও কার্যকরী শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারে না।

কিন্তু আমাদের দেশে চালু হওয়া এই নতুন কারিকুলাম শিক্ষার মান ধ্বংস করে জাতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। যা বাস্তব রুপ আমি আপনি সবাই ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

শাহ আলম খান আরোও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী কি শিখলো তার বাস্তব রুপ দেখা যায় তার পরীক্ষা ও ফলাফল দেখে। কিন্তু এখন যে পদ্ধতি চালু হয়েছে, তার মধ্যে না আছে কোনো পরীক্ষা, না আছে কোনো মূল্যায়ন। তাহলে আমাদের বাচ্চাদেরকে আপনারা কি শেখাচ্ছেন ? জাতি ধ্বংস করা নতুন এই কারিকুলাম দিয়ে আমাদের বাচ্চাদের আপনারা শিক্ষা প্রতিবন্ধী বানিয়ে ফেলছেন।’

সমাবেশে অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ অভিভাবকরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অধ্যায়নমুখী করতে হবে। যে ইন্ডিকেটর দিয়ে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটি তো প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা পড়তে জানে না, সংখ্যা চেনে না। তাদের এসব ইন্ডিকেটর শেখাতে হয়। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের এসব শিখিয়ে তাদের প্রতিবন্ধী করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, নতুন এ কারিকুলামে আমাদের ব্যয়ও বাড়ছে। আমরা এত ব্যায় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিদিন কাগজ, কলম ও পেন্সিলের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের দিকেও রাষ্ট্রকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এছাড়াও বিভিন্ন অভিভাবক বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন। সবমিলিয়ে তাদের সকলের দাবীসমূহ একটাই। আর তা হলো নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ তাদের ৮ দফা যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে হবে।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ৮ দফা দাবিসমূহঃ

১.শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।

২.নম্বারভিত্তিক ২টা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নাম্বার) চালু রাখতে হবে এবং ফ্রাসটেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (৪০ নাম্বার) হিসাবে ধরতে হবে।

৩.নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ থাকতে হবে।

৪.ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুৰ্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নাম্বার ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।

৫.শিখন ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে।

৬.শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে।

৭.প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি ২টা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে।

৮.সব সময়ে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

উল্লেখ্য, নতুন কারিকুলাম চালু হওয়ার পর থেকেই সচেতন অভিভাবক সমাজ সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই আন্দোলন চালিয়ে আসছে। নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে এই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক রাখাল রাহা বেশ জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছেন। ইতোপূর্বে তারা ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।