নওগাঁ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টি,টি,সি) তে জাপান ভাষা শিক্ষার ২য় ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়েছে।
- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৩১৫ বার পড়া হয়েছে
হাবিব আমজাদ
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ টি,টি,সিতে গত ০১/০১/২০২৪ শুরু হয়েছে জাপান ভাষা শিক্ষার দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত জাপান ভাষা শিক্ষা প্রদান করা হয়। তবে খাবার খাওয়া এবং নামাজের জন্য রয়েছে বিরতি। জাপানিজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক দ্বারা ভাষা শিখানো হয়।
ছাত্র ছাত্রীরা জানান ক্লাস শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ভাষা শিক্ষা প্রদান করছে শিক্ষিকা মোছাম্মদ খাদিজা সুলতানা, এবং সহযোগিতায় রয়েছে রুবেল হক। এখানে বড় মনিটরের মাধ্যমে শিখানো বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়।
দেশের যুব সমাজকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা টিটিসি তৈরির উদ্যোগ নেয়। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Technical Traning Center) সমূহ বিভিন্ন ধরণের বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান করার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে যা তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। ২০১০সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে আরো ৩৫টি জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মেরিন ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬২ টি জেলায় ৭১ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মেরিন ইনস্টিটিউট রয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থা প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে বিভিন্ন সময় মেয়াদী কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ টাকা। কর্মীরা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সে হিসাবে একজন কর্মী মাসে পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বেতনের টাকা দেওয়া হয় ব্যাংক হিসাবে।
জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ না নিয়ে কেউ জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না। বিএমইটির অধীনে ২৬টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার) চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রতিটিতে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন ৪০ জন করে।
এ ছাড়া রয়েছে বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি ও ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।