ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্রগ্রাম বোয়াল খালিতে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ Logo কালিয়াকৈরে ইলেকট্রিক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল আলম ও সাধারন সম্পাদক কেরামত আলী  Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে একদল তরুন স্বেচ্ছাসেবক বন্যাকবলিত ২শতাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে Logo শ্রীমঙ্গলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে অব্যহতি Logo কান্দিগ্রাম শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ এর ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরি কমিটি গঠন! Logo শেরপুরে জেলায় একটি মৎস্য খামার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার Logo সিমেক ফাউন্ডেশন এর ত্রান বিতরন কর্মসূচী- ২০২৪ Logo বামনডাঙ্গা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে অবরোধ। Logo বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন কার্যকরী সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম বকস দুদু কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন Logo কেস স্টাডি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহাদ ( শ্রেণীতে অমনোযোগীর কারণ অনুসন্ধান)

ত্রিশালে সংঘটিত ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন,ভিকটিমের স্বামী আলী হোসেন গ্রেপ্তার

সারোয়ার কবির ফাহাদ
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে

সারোয়ার কবির ফাহাদ

রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশে তথ্য প্রযুুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল হোতা ভিকটিমের স্বামী আলী হোসেনকে গত ২২/০৫/২০২৪ খ্রিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন, ধৃত আসামী আলী হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক র্বণনা প্রদান করেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপট হল ধৃত আসামী দিন মজুরের কাজ করত, তার কোন জমিজমা ছিল না, অভাবের সংসারে স্ত্রী আমেনা খাতুন এবং দুই ছেলে ছিল, বড় ছেলের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৪) ও ছোট ছেলে আনাছ( ২ বছর ৬ মাস), তিনি তার চাচার দেওয়া জমিতে অনেক দিন ধরে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করিতেছে, সংসারে সারা বছর অভাব অনটন লেগেই থাকত, ঠিকমত তার সংসার চালাতে পারত না, তাই সে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী ভিকটিম আমেনার নাম দিয়ে এনজিও থেকে টাকা তুলত, বেশ কিছুদিন পূর্বে সে এনজিও থেকে ১,৭০,০০০/-টাকা ঋণ নেয়, সেই টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় তাকে এবং তার স্ত্রীকে অপমান করা হত, প্রায়ই তার ছেলে ও বৌ না খেয়ে দিন কাটাত, ঋণের বোঝা, মানুষের অপমান, সংসারের অভাব অনটন থেকে মুক্তি পেতে ২/৩ মাস পূর্বেই আলী হোসেন সিদ্ধান্ত নেয় তার স্ত্রী ও সন্তানদ্বয়কে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করবে, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী আলী হোসেন গত ১৭/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ শুক্রবার রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় তার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী আমেনা খাতুনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে, তার স্ত্রী আমেনা খাতুন বিছানা থেকে নেমে ঘরের মেঝেতে গিয়ে বসলে আলী হোসেন তার পিঠের পিঁছনে গিয়ে তার গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে আমেনা খাতুন এর গলায় পেচিয়ে মাটিতে ফেলে দুই হাত দিয়ে টান দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে, তারপর বিছানায় আসামী আলী হোসেন এর দুই ছেলে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীর গলা থেকে ওড়না খুলে নিয়ে প্রথমে ছোট ছেলে আনাছ এর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং পরপরই তার বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকি এর গলায় ওড়নার বাকী অংশ দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে, পরে আসামী আলী হোসেন এর স্ত্রীকে কাঁধে তুলে নিয়ে ঘরের পিঁছন দিয়ে জঙ্গলে নিয়ে রাখেন এবং এর পরপরই তার দুই ছেলেকেও কোলে করে ঐ জঙ্গলে নিয়ে আসে, তারপর জনৈক ইউসুফ ও কালামের জমির মাঝখানে সীমানা বরাবর মাটিতে গর্ত করে তার স্ত্রী ও তার ০২ সন্তানকে পুতে রাখে, ভোরের দিকে সেখান থেকে চলে এসে আসামী ঘরে ঘুমিয়ে পরে, আসামী আলী হোসেন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বাড়ী হইতে হরিরামপুর এলাকায় চলে যায় এবং বিকালে বাড়ীতে ফিরে এসে মালামাল নিয়ে গফরগাঁও মশাখালী ষ্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে কমলাপুর রেল ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা করে, ডিবির হাতে গ্রেফতারের আগে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় গোপনে ছিলো।

উল্লেখ্য একই আসামীর বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণ এবং শ্বসরোধ করে হত্যার ঘটনায় একটি মামলায় ০৫ বছর কারাভোগ করে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে জামিনে মুক্তি লাভ করেন, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

Translate »

ত্রিশালে সংঘটিত ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন,ভিকটিমের স্বামী আলী হোসেন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৫:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

সারোয়ার কবির ফাহাদ

রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশে তথ্য প্রযুুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল হোতা ভিকটিমের স্বামী আলী হোসেনকে গত ২২/০৫/২০২৪ খ্রিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন, ধৃত আসামী আলী হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক র্বণনা প্রদান করেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপট হল ধৃত আসামী দিন মজুরের কাজ করত, তার কোন জমিজমা ছিল না, অভাবের সংসারে স্ত্রী আমেনা খাতুন এবং দুই ছেলে ছিল, বড় ছেলের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৪) ও ছোট ছেলে আনাছ( ২ বছর ৬ মাস), তিনি তার চাচার দেওয়া জমিতে অনেক দিন ধরে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করিতেছে, সংসারে সারা বছর অভাব অনটন লেগেই থাকত, ঠিকমত তার সংসার চালাতে পারত না, তাই সে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী ভিকটিম আমেনার নাম দিয়ে এনজিও থেকে টাকা তুলত, বেশ কিছুদিন পূর্বে সে এনজিও থেকে ১,৭০,০০০/-টাকা ঋণ নেয়, সেই টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় তাকে এবং তার স্ত্রীকে অপমান করা হত, প্রায়ই তার ছেলে ও বৌ না খেয়ে দিন কাটাত, ঋণের বোঝা, মানুষের অপমান, সংসারের অভাব অনটন থেকে মুক্তি পেতে ২/৩ মাস পূর্বেই আলী হোসেন সিদ্ধান্ত নেয় তার স্ত্রী ও সন্তানদ্বয়কে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করবে, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী আলী হোসেন গত ১৭/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ শুক্রবার রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় তার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী আমেনা খাতুনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে, তার স্ত্রী আমেনা খাতুন বিছানা থেকে নেমে ঘরের মেঝেতে গিয়ে বসলে আলী হোসেন তার পিঠের পিঁছনে গিয়ে তার গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে আমেনা খাতুন এর গলায় পেচিয়ে মাটিতে ফেলে দুই হাত দিয়ে টান দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে, তারপর বিছানায় আসামী আলী হোসেন এর দুই ছেলে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীর গলা থেকে ওড়না খুলে নিয়ে প্রথমে ছোট ছেলে আনাছ এর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং পরপরই তার বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকি এর গলায় ওড়নার বাকী অংশ দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে, পরে আসামী আলী হোসেন এর স্ত্রীকে কাঁধে তুলে নিয়ে ঘরের পিঁছন দিয়ে জঙ্গলে নিয়ে রাখেন এবং এর পরপরই তার দুই ছেলেকেও কোলে করে ঐ জঙ্গলে নিয়ে আসে, তারপর জনৈক ইউসুফ ও কালামের জমির মাঝখানে সীমানা বরাবর মাটিতে গর্ত করে তার স্ত্রী ও তার ০২ সন্তানকে পুতে রাখে, ভোরের দিকে সেখান থেকে চলে এসে আসামী ঘরে ঘুমিয়ে পরে, আসামী আলী হোসেন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বাড়ী হইতে হরিরামপুর এলাকায় চলে যায় এবং বিকালে বাড়ীতে ফিরে এসে মালামাল নিয়ে গফরগাঁও মশাখালী ষ্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে কমলাপুর রেল ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা করে, ডিবির হাতে গ্রেফতারের আগে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় গোপনে ছিলো।

উল্লেখ্য একই আসামীর বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণ এবং শ্বসরোধ করে হত্যার ঘটনায় একটি মামলায় ০৫ বছর কারাভোগ করে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে জামিনে মুক্তি লাভ করেন, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।