ত্রিশালে কালের সাক্ষী পুরনো শিমুল গাছ
- আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
জাকিয়া বেগম
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বালির বাজার এলাকায় একটি বিশাল আকৃতির ঐতিহ্যবাহী পুরনো শিমুল গাছ রয়েছে। যা কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। এলাকার মানুষের দাবি গাছটির বয়স অন্তত পাঁচশত বছর হবে। এই পুরনো শিমুল গাছটি নিয়ে জড়িয়ে আছে নানা গল্প কাহিনী। সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাচীন এই গাছটিকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্পকাহিনী।
গাছের গোড়ায় দাঁড়ালে নিজেকে উচ্চতার দিক থেকে অতিক্ষুদ্র মনে হবে। আবার কখনও বা মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভব। এর বিশালতায় দর্শনার্থীদের ভরে যায় মন। এই গাছটি দেখতে দূর থেকেও ছুটে আসেন অনেকে।
পুরাতন এ শিমুল গাছজুড়ে যখন টকটকে লাল শিমুল ফুল ফোটে, তখন এক অপরুপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকেন। তারা মানত করেন, স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোন কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরণ করার জন্য দূর থেকে ছুটে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদ আলী জানান, ‘এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে । এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।’এভাবেই রুপকথার গল্পের মতো কথাগুলো বললেন মোকছেদ আলী। তার কথাগুলো হাস্যকর মনে হলেও এখানকার মানুষজন তাই বিশ্বাস করেন।
জমির মালিক ইউসুফ আলী জানান, ‘এই বিশাল আকৃতির শিমুল গাছটির বয়স কমপক্ষে হলেও পাঁচশত বছর হবে। পূর্বপুরুষের মুখে শুনে এসেছি এই প্রাচীন শিমুল গাছের কথা। এছাড়াও এই গাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তাই মানুষ এ গাছে মানত পূরণ করতে আসে।’
প্রতিবছর ফাল্গুন মাস এলে গাছে শিমুল ফুলের সমারোহ সৌন্দর্য বৃদ্ধ করে এই প্রবীণ গাছটি। ওই সময় এই গাছটি ফুলে লালে লাল হয়ে যায়। গাছের ফুলে ফুলে মৌমাছি, পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এই শিমুল বৃক্ষটি ত্রিশালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এমনটাই মনে করেন আগতরা।