ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পল্টনে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে গাজীপুরে প্রস্তুতি সভা। Logo ।।ভক্ত আশেকানদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো ফটিকছড়ির বাবা ভান্ডারীর রওজা।। Logo কালিয়াকৈরে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী পালিত Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে প্রাক্তন ছাত্র ও বন্ধু মহলের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২ শতাধিক কৃষকের মাঝে ধানের চারা বিতরন Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালির হোরার বাগ গ্রামে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নী(সা:) মাহফিল সম্পন্ন Logo লালমোহনে রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজি ৬ জন গ্রেফতার Logo নার্সদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ত্রিশালে মানববন্ধন Logo গফরগাঁও য়ে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা Logo বাগমারায় হয়রানিমূলক মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন 

তীব্র শীতও হার মেনেছে স্বপ্নে বিভোর কৃষকদের কাছে

রিপন
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করেই নেত্রকোনায় শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের চারা রোপণ। ফলে বেড়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। হাল চাষ, জমি তৈরি করে বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উঠানো শেষে এবার জমিতে চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের সকালের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকরা ধানের চারা রোপণের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। জেলার প্রতিটি উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমিতে বিভিন্নজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ আবার স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, কেউ বা বীজতলা থেকে ধানের চারা উঠাচ্ছেন। বেশকিছু জমিতে আবার কৃষকরা চারা রোপণ করে ফেলেছেন।

নেত্রকোনা সদরের আমতলা গ্রামের কৃষক সাধন বৈশ্য বলেন, এবার তিনি দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। চারা রোপণের জন্য তার প্রায় ১০ হাজার টাকা হয়েছে। লাভের আশায় শীতকে তুচ্ছ মনেকরে ভাল ফসল ফলাতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কৃষক তাঁরা মিয়া বলেন, জমিতে চারা রোপন করতে শ্রমিক সংকটে পড়তে হচ্ছে তাকে। কৃষকেরা একসাথে জমি তৈরি ও চারা রোপন করায় এরকমটা হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বারহাট্টা উপজেলা সদরের আন্দাদিয়া গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমি বোরো আবাদের জন্য প্রস্তত করছেন। এর জন্য বীজতলার চারাও তৈরি করেছেন। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে চারা রোপণে তাকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার বোরো মাঠ প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তীব্র শীত না থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বোরোর চারা রোপণ শুরু করা যেতো। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় বীজতলার চারা নষ্ট হতে বসেছে। এবার ঠিকমতো ফসল ঘরে তুলতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

শুধু লিয়াকত আলী নন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জেলার বেশিরভাগ কৃষক বোরোর চারা রোপণ করতে পারছেন না। অনেকেই সেচের জন্য নালা এবং মাঠ প্রস্তুত করছেন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান জানান, এখনও বরো আবাদের অনেক সময় বাকি আছে। শীতের তীব্রতা কমে আসলে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারতেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগস :
Translate »

তীব্র শীতও হার মেনেছে স্বপ্নে বিভোর কৃষকদের কাছে

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করেই নেত্রকোনায় শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের চারা রোপণ। ফলে বেড়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। হাল চাষ, জমি তৈরি করে বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উঠানো শেষে এবার জমিতে চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের সকালের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকরা ধানের চারা রোপণের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। জেলার প্রতিটি উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমিতে বিভিন্নজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ আবার স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, কেউ বা বীজতলা থেকে ধানের চারা উঠাচ্ছেন। বেশকিছু জমিতে আবার কৃষকরা চারা রোপণ করে ফেলেছেন।

নেত্রকোনা সদরের আমতলা গ্রামের কৃষক সাধন বৈশ্য বলেন, এবার তিনি দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। চারা রোপণের জন্য তার প্রায় ১০ হাজার টাকা হয়েছে। লাভের আশায় শীতকে তুচ্ছ মনেকরে ভাল ফসল ফলাতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কৃষক তাঁরা মিয়া বলেন, জমিতে চারা রোপন করতে শ্রমিক সংকটে পড়তে হচ্ছে তাকে। কৃষকেরা একসাথে জমি তৈরি ও চারা রোপন করায় এরকমটা হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বারহাট্টা উপজেলা সদরের আন্দাদিয়া গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমি বোরো আবাদের জন্য প্রস্তত করছেন। এর জন্য বীজতলার চারাও তৈরি করেছেন। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে চারা রোপণে তাকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার বোরো মাঠ প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তীব্র শীত না থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বোরোর চারা রোপণ শুরু করা যেতো। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় বীজতলার চারা নষ্ট হতে বসেছে। এবার ঠিকমতো ফসল ঘরে তুলতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

শুধু লিয়াকত আলী নন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জেলার বেশিরভাগ কৃষক বোরোর চারা রোপণ করতে পারছেন না। অনেকেই সেচের জন্য নালা এবং মাঠ প্রস্তুত করছেন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান জানান, এখনও বরো আবাদের অনেক সময় বাকি আছে। শীতের তীব্রতা কমে আসলে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারতেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন।