ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ড্রাগন চাষে সাফল্য চৌধুরী

মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:

সন্দ্বীপে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল ড্রাগন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে উঠেছেন অনেকে।দিন দিন দ্বীপে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশি বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ।

সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চৌধুরী কুয়েত প্রবাসী, ২০২০ সালের শেষের দিকে তিনি মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে কাঠা  জমিতে ড্রাগন ফল রোপণ করছেন।

প্রতিবছর মে মাসে থেকে ডিসেম্বর  মাস পর্যন্ত গাছে ফল দিতে থাকে মে  মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ড্রাগন ফলসংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উঁচু জমিতে  সারি সারি ড্রাগন গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে টুকটুকে লাল ড্রাগন। প্রতিটি খুঁটিতে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরেছে। বাগান প‌রিচর্যার কাজ করছেন মিল্টন মোঃ সেলিম ও তার স্ত্রী।

বাগানের উদ্যোক্তা মোঃ সেলিম (৬৫) জানান,ইউটিউবের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হই। 

ড্রাগন বাগান ও চাষ আমি বগুড়া থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে, আমার এক বন্ধু কুয়েত প্রবাসী চৌধুরী তার অর্থায়নে ২০২০ সালের শেষের দিকে এ চাষ শুরু করি, এক বছর পর থেকে গাছে ফল দেয়া শুরু করে।

এ বাগান থেকে এখন প্রতি বছর ৫/৬ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। সেলিম আরো বলেন আমাদের  বাগানে একটি ড্রাগন ফল ৮০০-৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়।

বছরে শীত মসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে।সেলিমের  স্ত্রী  বলেন, এই বাগানটি করার সময় আমিও আমার স্বামীকে অনেক সহযোগিতা করেছি। 

মাঝে মাঝে স্বামী অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে আমি বাগানটি দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। আমাদের একটাই আশা এই বাগানটির মাধ্যমে আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সন্দ্বীপ  উপজেলায় মোট ২ হাজার  শতাংশ জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায়  ৪০ টি ড্রাগন বাগান রয়েছে। সকল বাগানেই ফলের উৎপাদন ভালো এবং ফল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন  বলেন, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো।

Translate »

ড্রাগন চাষে সাফল্য চৌধুরী

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:

সন্দ্বীপে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল ড্রাগন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে উঠেছেন অনেকে।দিন দিন দ্বীপে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশি বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ।

সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চৌধুরী কুয়েত প্রবাসী, ২০২০ সালের শেষের দিকে তিনি মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে কাঠা  জমিতে ড্রাগন ফল রোপণ করছেন।

প্রতিবছর মে মাসে থেকে ডিসেম্বর  মাস পর্যন্ত গাছে ফল দিতে থাকে মে  মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ড্রাগন ফলসংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উঁচু জমিতে  সারি সারি ড্রাগন গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে টুকটুকে লাল ড্রাগন। প্রতিটি খুঁটিতে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরেছে। বাগান প‌রিচর্যার কাজ করছেন মিল্টন মোঃ সেলিম ও তার স্ত্রী।

বাগানের উদ্যোক্তা মোঃ সেলিম (৬৫) জানান,ইউটিউবের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হই। 

ড্রাগন বাগান ও চাষ আমি বগুড়া থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে, আমার এক বন্ধু কুয়েত প্রবাসী চৌধুরী তার অর্থায়নে ২০২০ সালের শেষের দিকে এ চাষ শুরু করি, এক বছর পর থেকে গাছে ফল দেয়া শুরু করে।

এ বাগান থেকে এখন প্রতি বছর ৫/৬ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। সেলিম আরো বলেন আমাদের  বাগানে একটি ড্রাগন ফল ৮০০-৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়।

বছরে শীত মসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে।সেলিমের  স্ত্রী  বলেন, এই বাগানটি করার সময় আমিও আমার স্বামীকে অনেক সহযোগিতা করেছি। 

মাঝে মাঝে স্বামী অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে আমি বাগানটি দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। আমাদের একটাই আশা এই বাগানটির মাধ্যমে আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সন্দ্বীপ  উপজেলায় মোট ২ হাজার  শতাংশ জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায়  ৪০ টি ড্রাগন বাগান রয়েছে। সকল বাগানেই ফলের উৎপাদন ভালো এবং ফল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন  বলেন, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো।