ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo হারিয়ে যাওয়া শিশু সাদিককে পাঠানো হচ্ছে রাজশাহী বেবী হোমে  Logo শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দুই মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

মোঃ হাসানুজ্জামান: সিনিয়র রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হাসানুজ্জামান: সিনিয়র রিপোর্টার : অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু একপ্রকার মহামারি আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানাবিধ আলোচনা – সমালোচনা। ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পান্থপথ শমরিতা হাসপাতালে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী উত্তরের তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন পান্থপথ হেল্থ এন্ড হোপ হাসপাতালে আজ বুধবার রক্ত দান করেন। উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে ‘ফ্রি ডেঙ্গু ঢাকা’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়। সেখানে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য রক্ত চাওয়া হয়। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রক্তদান করেন।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমক রোগের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ছয় শতাধিক মানুষের প্রাণ চলে গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে-বিশেষ করে শিশুরা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা মারা যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো অসুখই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মশাবাহিত ভাইরাস ডেঙ্গু রোগ, এটা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু না। কলকাতার জনবহুল শহরেও সেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সক্ষম হয়েছে।’

এ সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের কেউই নির্বাচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সিটি করপোরেশন দায়বদ্ধতার মধ্যে নেই। আছে কিভাবে নতুন নতুন বাজার তৈরি করবেন, নতুন নতুন মাঠ তৈরি করে সেখানে কিভাবে শপিংমল তৈরি করবেন, রাস্তার বড় বড় পুরানো গাছ কেটে দিয়ে নতুন নতুন গাছ লাগাবেন-এসব দিকে তাদের নজর বেশি। জনগণকে ন্যূনতম সেবা দেওয়ার যে দায়িত্ব তা তারা করছেন না।’

করোনাকালেও তারা জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি মনে করি, জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত’, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ডেঙ্গু ইস্যুটিকে দুই মেয়র গুরুত্ব দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচিত মেয়র যারা আছেন, তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতি করেই এভাবে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।’

প্রত্যেকটি খাতে আজকে দুর্নীতিগ্রস্থ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে যে পথে বেশি বৈদিশিক আয় হয় গার্মেন্টস, সেখানে ডলারের দাম এমন পর্যায়ে গেছে মালিকরা ঠিকমতো ডলার কিনতে পারছেন না। অন্যদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেরও ভঙ্গুর অবস্থা। অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের পথে চলে গেছে-এটা শুধুমাত্র আমার কথা নয়, অর্থনীতিবিদরাও তাই বলছেন।’

ট্যাগস :
Translate »

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দুই মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃ হাসানুজ্জামান: সিনিয়র রিপোর্টার : অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু একপ্রকার মহামারি আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানাবিধ আলোচনা – সমালোচনা। ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পান্থপথ শমরিতা হাসপাতালে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী উত্তরের তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন পান্থপথ হেল্থ এন্ড হোপ হাসপাতালে আজ বুধবার রক্ত দান করেন। উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে ‘ফ্রি ডেঙ্গু ঢাকা’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়। সেখানে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য রক্ত চাওয়া হয়। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রক্তদান করেন।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমক রোগের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ছয় শতাধিক মানুষের প্রাণ চলে গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে-বিশেষ করে শিশুরা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা মারা যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো অসুখই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মশাবাহিত ভাইরাস ডেঙ্গু রোগ, এটা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু না। কলকাতার জনবহুল শহরেও সেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সক্ষম হয়েছে।’

এ সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের কেউই নির্বাচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সিটি করপোরেশন দায়বদ্ধতার মধ্যে নেই। আছে কিভাবে নতুন নতুন বাজার তৈরি করবেন, নতুন নতুন মাঠ তৈরি করে সেখানে কিভাবে শপিংমল তৈরি করবেন, রাস্তার বড় বড় পুরানো গাছ কেটে দিয়ে নতুন নতুন গাছ লাগাবেন-এসব দিকে তাদের নজর বেশি। জনগণকে ন্যূনতম সেবা দেওয়ার যে দায়িত্ব তা তারা করছেন না।’

করোনাকালেও তারা জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি মনে করি, জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত’, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ডেঙ্গু ইস্যুটিকে দুই মেয়র গুরুত্ব দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচিত মেয়র যারা আছেন, তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতি করেই এভাবে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।’

প্রত্যেকটি খাতে আজকে দুর্নীতিগ্রস্থ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে যে পথে বেশি বৈদিশিক আয় হয় গার্মেন্টস, সেখানে ডলারের দাম এমন পর্যায়ে গেছে মালিকরা ঠিকমতো ডলার কিনতে পারছেন না। অন্যদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেরও ভঙ্গুর অবস্থা। অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের পথে চলে গেছে-এটা শুধুমাত্র আমার কথা নয়, অর্থনীতিবিদরাও তাই বলছেন।’