মোর্শেদ খান টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল বনবিভাগের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতলী রেঞ্জের ডিবি গজারিয়া(কৈয়ামধু) বিটের বনপ্রহরি রাসেলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইল বনবিভাগের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতলী রেঞ্জের কৈয়ামধু বিটের আওতাধীন লাঙ্গুলিয়া গ্রামের মালেক মুন্সির বাড়ির পিছনের একটি সরকারি উটলট বাগানের আকাশ মনি গাছের বিশাল বড় একটি বাগান গত দুইদিনেই দিনের আলোতেই কেটে সাবাড় করলেন অসাধু বন খেকুচক্র।এ বিষয়ে জানা যায় ওই এলাকার প্রভাবশালী সানোয়ার মেলেটারি সরকারি খাস ভূমির ওই বাগানটি তার নিজের বলে দাবী করেন।তিনি বলেন যে,কৈয়ামধু বিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রাসেলকে ম্যানেজ করে মৌখিক অনুমোতি নিয়েই আমরা গাছ কর্তন করেছি।এজন্য রাসেলকে ৫০হাজার টাকা দিয়ে আমান উদ্দিনের ছেলে শরিফ গাছগুলো কর্তন করেছে। পরে শুনলাম পৌরসভার গ্রামীন ব্যাংক সংলগ্ন দেলোয়ারের করাতকল থেকে পয়ঁত্রিশটি গাছ উদ্ধার করেছে রাসেল গার্ড।।
এ বিষয়ে কৈয়ামধু বিটের দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা রাসেলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান,দীর্ঘদিন এ বিটে বিট কর্মকর্তা নেই,আমি মূলতঃ এ বিটের অধিনে একজন গার্ড,আপাতত সব দায়িত্ব আমিই দেখভাল করি।বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ওই রেঞ্জের এবং কৈয়ামধু বিটের বিট কর্মকর্তা বেশ কিছু দিন যাবৎ অনুপস্থিত।আর এই সুযোগটিই নিয়েছে রাসেল নামক এই গার্ড।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,কৈয়ামধু বিটের ওই গার্ড রাসেল এখন ক্ষমতা পেয়ে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে।রাতারাতি লাখ লাখ টাকার সরকারি উটলট বাগানের গাছসহ সরকারি খাস জমির গজারি বন উজার করে দিচ্ছেন। এছাড়া রাসেল গার্ড মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেওবাড়ি এলাকায় মকবুল,আবুর,নিয়ত আলী,নূর আলম ,মিন্টু,হানিফ এবং বেতুয়া এলাকায় সোমেদ আলীর,,কৈয়ৈামধু বাজারের উত্তর পাশে বনের জায়গায় কয়েকটি ঘর নির্মানে সহযোগিতা করেছে।
এ বিষয়ে কৈয়ামধু বিটের দায়িত্বে নিয়োজিত গার্ড রাসেল বলেন,আমি কাউকে ঘর ও গাছ কাটার অনুমতি দেইনি।যদি চুরি করে কেউ গাছ কেটেই থাকে,তবে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।