হাজী কাউছার
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাঝিকাড়া গ্রামের অদম্য, কঠোর পরিশ্রমী বিল্লাল মিয়া (২২) নিজ চেষ্টায় জীবন যুদ্ধে নিজেকে করেছেন সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
গড়ে তোলেছেন “বিল্লাল ফার্নিচার মার্ট” নামে ফার্নিচারের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
রায়পুরের শ্রীরামপুর থেকে পিতা-মাতার সাথে মাঝিকাড়া গ্রামের ভাড়া বাসায় আসেন তিনি।
দুরারোগ ব্যাধিত দীর্ঘদিন ভোগে রিক্সাচালক পিতা বরকত আলীর মৃত্যুর পর ছোট বেলা থেকে পরিবারের হাল ধরেন তিনি।
তিন ভাই ও চার বোন ও মা সায়েরা বানুকে নিয়ে জীবন সংগ্রামে একটু একটু করে এগিয়ে এসেছেন বিল্লাল মিয়া।
মানসিক প্রতিবন্ধি বড় ভাই লিটন মিয়া কর্মক্ষম না থাকায় পিতার মৃত্যুর পর নিজ দায়িত্বে কাঁধে তুলে নেন বড়-ছোট ভাই বোনদের ভরণ-পোষণ ও বিবাহের দায়িত্ব।
প্রথমে অন্যের ফার্নিচারের দোকানে ফার্নিচারের শিক্ষণবিশ কর্মচারি হিসেবে যোগ দিলেও দীর্ঘ ১৩ বছরে নিজ চেষ্টায় গড়ে তোলেন নিজের ফার্নিচারের দোকান।
দীর্ঘদিনের বাসা ভাড়া থেকে করেছেন নিজের বাড়ি-ঘর। সেই সাথে বিয়ে দিয়েছেন বড়-ছোট বোনদের। নিজ দোকানে নিজের ভাইকে করেছেন কর্মসঙ্গী।
অন্য আট দশজনের ছেলের মতো না হয়ে পরিবার ও নিজের চেষ্টায় এই সাফল্যে পরিবার ও সমাজে চোখে সে এখন “হিরো” হয়েছেন স্বাবলম্বী।
তার এই অদম্য ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য এলাকায় তার সুনাম ছড়িয়ে আছে।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি কাসেম মিয়া বলেন, বিল্লালের পরিশ্রম ও চেষ্টা আমাদের সকলের জন্যই একটা উদাহরণ।
অভাবের সংসারে তার বাবা মারা যাওয়ার পর মা-ভাই-বোনদেরকে নিয়ে সে যে আজকের অবস্থানে আছে তা তার পরিশ্রমের জন্য।
এ বিষয়ে বিল্লাল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বিল্লাল মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে অহন ভালা আছি।
আফনেরে আমার লেইগ্যা দোয়া করবেন আমি যেন আমার পরিবার নিয়ে চলতে পারি।
বিল্লাল মিয়া আরো বলেন, আমি খুশি হমু একবার পারলে আফনেরে আমার দোকানে আসিয়েন।
স্বল্পমূল্যে,বিভিন্ন ডিজাইনের খাট,চৌকি,চেয়ার,টেবিলের ফার্নিচার পাবেন।
বিল্লালের সাফল্যে খুশি এলাকাবাসি ও খরিদদাররা। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন সবাই।