ছাত্র আন্দোলনের মুখে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ
- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
তমিজ উদ্দিন চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টার-ফেনী।
ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন মোটবী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আমিনুল ইসলাম মজুমদার। ছাত্র ছাত্রীরা ২৩ দফা অনিয়ম নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন কবে আসছিল। আজ ০১/১০/২০২৪ ইং ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে সভাপতি বরাবর পদত্যাগ পত্র জমাদেন।
মোটবী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মজুমদারের ২৩ দফা অপরাধ ও অনিয়মের তালিকা।
১। স্কুলে যোগদানের পর থেকে অত্র বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল বন্ধ।
২। এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কোনো বিদায় অনুষ্ঠান করতে দিত না।
৩। খেলাধুলা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো নাম মাত্র।
৪। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিস্টেশন ফিস চার-পাঁচ গুন বাড়িয়ে বিনা রশিদে আদায় করে নিজে নিয়ে নিতো।
৫। কমিটির সভাপতিকে ভগ্নিপতি বানিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো রেজুলেশন লিখে নিজের বেতন দশ শুন বাড়িয়েছে এবং মোবাইল বিল ও বেতনের সাথে যোগ করে তার উপর ইনক্রিমেন্ট নিয়েছে। যা অডিট করলে ধরা পড়বে।
৬। কমিটির অনুমোদন ছাড়া স্থানীয় এম পি কে এনে বিদ্যালয়ের ৪/৫ লক্ষ টাকা ইচ্ছা মতো খরচ করেছেন। যার প্রমাণ দিবে ভাউচার।
৭ বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, আনার পম গাছ ইত্যাদি জৈনক কমিটিসহ বিক্রি করে নাম মাত্র বিদ্যালয়ে জমা দিত কি না সন্ধেহ আছে।
৮। নিয়োগ বানিজ্য করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাইন উদ্দিনকে চাকুরী হতে অব্যহতি দিতে বাধ্য করেন।
৯। জৈনেক কমিটি ও জৈনেক শিক্ষকসহ তিন জন প্রতি দিন সার্বোক্ষণিক অফিসে বসে কু-পরিকল্পনা ও চা- নাস্তা খাইতেন। বিগত বছর গুলোর ভাউচার হিসেব করলে আপ্যায়ন ভাউচারে ধরা পড়বে।
১০। দ্বিতীয় স্বাধীনতা চলা কালে স্কুলের লক্ষ টাকার ব্যাটারী বিক্রি করে নিয়ে গেছে।
১১। সন্ধেহ জনক অভিযোগ এনে এক জন শিক্ষকের গায়ে হাত উঠান অর্থাৎ তার মুখে থাপ্পড মারেন।
১২।তিন বছর দুই মাস ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর
বিদ্যালয়ের সি এফ এর ৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে
জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রাখেন।
১৩। নিজের ইচ্ছা মতো বিদ্যালয়ের পি এফ এর টাকা উত্তোলন করে পোষ্ট অফিস, ব্যাংক ও বিভিন্ন জায়গায় লাভের উপর রাখেন।
১৪। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আওয়ামিলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং এ পাঠাইতো। স্কুলের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাব পত্র আওয়ামিলীগের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতো। কারণ তিনি আওয়ামী শ্রমিক লীগের জেলা সহ সভাপতি।
১৫। দুর্নিতি করে নিজ গ্রামে ৪০ লক্ষ টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি ও শহরে একাধিক ফ্লাটের মালিক তিনি।
১৬। বিদ্যালয়ে বিগত দশ বছরের অডিট করলে তার বহু কুকুর্তি ধরা পড়বে।
১৭। সে আসার পর থেকে যতো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে তাদের থেকে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছে।
১৮। জৈনক কমিটিসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারীদের সার্বোক্ষণিক চাপের মুখে রাখেন যাতে তারা চলে গেলে আবার ঘুষ নিয়ে নিয়োগ নিতে পারে।
১৯। রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে স্কুলে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতো। যার প্রমাণ শিক্ষক কর্ম চারী।
২০। সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা শর্তে ও জৈনক শিক্ষককে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়ে যেত যা সহকারী প্রধান শিক্ষককের জন্য অপমান জনক।
২১। ছাত্র- ছাত্রীদের কখনো শিক্ষা সফর করতে দিতো না।
২২। ছাত্র-ছাত্রীরা কখনো কোনো দাবি নিয়ে গেলে পাত্তা দিতো না।
২৩। ১২ নং এর প্রমাণ হলো শিক্ষক কর্ম-চারীর পুরাতন এপ এফ এর সোনালী ব্যাংক লস্কর হাট শাখার একাউন্ট
ইউএনও গুলো (আপনার) স্বাক্ষরের মাধ্যমে বর্তমান মাসে সাচল করেছেন।
অপরাধির পদত্যাগ চাই। প্রচারে: ছাত্র-জনতা।