পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী পুলিশ সুপার-সি সার্কেল, গাইবান্ধার সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই মানিক রানা সহ গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল মামলা রুজুর পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বগুড়া মাটিরডালি বাইপাস রোডের জয়বাংলা নামক স্থান থেকে ডাকাত কর্তৃক লুন্ঠিত মহিষবহনকারী ট্রাক উদ্ধার করেন। এরপর ডাকাতীর দুটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশের চৌকস টিম পুলিশ সুপার গাইবান্ধা এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে থাকে এবং আত্ন জেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্যদের তথ্য নিয়ে গ্রেফতার করতে থাকে।একপর্যায়ে বিশ্বস্ত সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশের চৌকস টিম গত ০৯/০২/২০২৫ খ্রিঃ ডাকাত শিপনকে গ্রেফতার করেন। ডাকাত শিপনকে জিজ্ঞাসাবাদে গরু ডাকাতীর সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজের দোস স্বীকার করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ডাকাত শিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতী গরু বিক্রয়ের সাথে জড়িত আসামী মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ আমিন মিয়া, মোঃ শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করলে তাদের নিকট থেকে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং মামলার মূল হোতা মোঃ সামিউল ইসলাম এর নাম ঠিকানা পাওয়া যায়। থানা পুলিশের চৌকশ টিম তথ্য ও প্রযুক্তর সহায়তা নিয়ে গত ১১/০২/২০২৫ খ্রিঃ আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলামকে গাইবান্ধা সদর থানাধীন তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন। আসামী আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে লুন্ঠিত গরু এবং অপর ঘটনায় লুন্ঠিত মহিষ নিজের খামারে রেখে আসামী মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ আমিন মিয়া, মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সহায়তায় বিভিন্ন হাটে বিক্রয়ে করেছে মর্মে স্বীকার করেন। সর্বশেষ গরু এবং মহিষ ডাকাতীর মূল হোতা মোঃ সামিউল ইসলামকে গত ০৯/০৩/২০২৫ খ্রিঃ গাজীপুর এর কোনাবাড়ী থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন। ডাকাত সামিউল গরু এবং মহিষ ডাকাতীর সথে সরাসরি জড়িত থেকে ডাকাতী কার্য সম্পাদন করেছে মর্মে পুলিশের নিকট জবানবন্দি প্রদান করেন এবং বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবব্দি প্রদান করার ইচ্ছা পোষন করে।
সর্বমোট ১৫ জন ডাকাত গ্রেফতার।