ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কটিয়াদীতে উপজেলা জামায়াতের কমিটি গঠন Logo শেরপুর জেলা শ্রীবরদীতে পানিতে ডুবে যমজ দুই শিশুর মৃত্যু ঘটনা ঘটে Logo শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে স্টেশনে কৃষকদলের মহা সমাবেশ Logo সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মাদক সেবনের দায়ে তিনজনের কারাদণ্ড। Logo কিশোরগঞ্জে রক্ত দিয়ে গোসল করবে বলে হুমকির অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে Logo সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে সরকার। Logo দ্বীন কায়েমের জন্য দৃড় প্রতিঙ্গা ছিল আসলাম হোসাইনের  Logo ভালুকায় যুবদলের কর্মী সামাবেশ ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  Logo অরুণাচলে যৌথ মহড়া নৌ ও বায়ুসেনার Logo কালিয়াকৈরে বীজ ও চারা বিনামূল্যে বিতরণ

গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে নারীকে হত্যা

মো: সোহেল রানা, গাজীপুর
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২৩ বার পড়া হয়েছে

মো: সোহেল রানা, গাজীপুর গাজীপুরের শ্রীপুরের তাকওয়া পরিবহন নামে একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে চম্পা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও হেলপার এর বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকশ উত্তেজিত জনতা কয়েকটি মিনিবাস ভাংচুর করেন।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের তাহের সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত চম্পা বেগম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে। চম্পা স্বামীর সঙ্গে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

চম্পার ভাজিতা সুমন মিয়া জানান, স্বামীর সঙ্গে চম্পা গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর তার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। শুক্রবার ছোট বোনের বাড়িতে তাদের বাবা গ্রাম থেকে বেড়াতে এলে চম্পা বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছোট বোনের বাড়িতে আসেন। বাবার সঙ্গে দেখা শেষে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য নয়নপুর থেকে বাসে উঠেন। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে বিতণ্ডা শুরু হলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বালুর গাড়ির লেবার জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমরা পাশেই বসেছিলাম। এসময় হঠাৎ তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে শব্দ হয়। পরে আমরা মহাসড়কে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।

মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি এখনো নিশ্চিত না। আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, জড়িত বাসকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসটিকে শনাক্ত করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা নারীর মরদেহ পাইনি। শুনেছি তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।

ট্যাগস :
Translate »

গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে নারীকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মো: সোহেল রানা, গাজীপুর গাজীপুরের শ্রীপুরের তাকওয়া পরিবহন নামে একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে চম্পা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও হেলপার এর বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কয়েকশ উত্তেজিত জনতা কয়েকটি মিনিবাস ভাংচুর করেন।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের তাহের সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত চম্পা বেগম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে। চম্পা স্বামীর সঙ্গে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

চম্পার ভাজিতা সুমন মিয়া জানান, স্বামীর সঙ্গে চম্পা গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর তার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। শুক্রবার ছোট বোনের বাড়িতে তাদের বাবা গ্রাম থেকে বেড়াতে এলে চম্পা বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছোট বোনের বাড়িতে আসেন। বাবার সঙ্গে দেখা শেষে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য নয়নপুর থেকে বাসে উঠেন। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে বিতণ্ডা শুরু হলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বালুর গাড়ির লেবার জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আমরা পাশেই বসেছিলাম। এসময় হঠাৎ তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে শব্দ হয়। পরে আমরা মহাসড়কে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।

মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি এখনো নিশ্চিত না। আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, জড়িত বাসকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসটিকে শনাক্ত করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা নারীর মরদেহ পাইনি। শুনেছি তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।