ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্রগ্রাম বোয়াল খালিতে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ Logo কালিয়াকৈরে ইলেকট্রিক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল আলম ও সাধারন সম্পাদক কেরামত আলী  Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে একদল তরুন স্বেচ্ছাসেবক বন্যাকবলিত ২শতাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে Logo শ্রীমঙ্গলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে অব্যহতি Logo কান্দিগ্রাম শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ এর ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরি কমিটি গঠন! Logo শেরপুরে জেলায় একটি মৎস্য খামার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার Logo সিমেক ফাউন্ডেশন এর ত্রান বিতরন কর্মসূচী- ২০২৪ Logo বামনডাঙ্গা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে অবরোধ। Logo বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন কার্যকরী সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম বকস দুদু কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন Logo কেস স্টাডি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহাদ ( শ্রেণীতে অমনোযোগীর কারণ অনুসন্ধান)

কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত খুলনা

শাহাদাত হোসেন নোবেল
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত খুলনা
শাহাদাত হোসেন নোবেল : (খুলনা)

খুলনার বিভিন্ন মোড় ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও রাজপথে।
গতকাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী আচরণ ক্ষুব্ধ করেছে সমগ্র দেশবাসীকে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনায় জেলা স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, মডেল স্কুলের ছাত্ররা শহরের মেইন রোড সিটি কলেজ গেইট থেকে ময়লা পোতা পর্যন্ত মিছিল করে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন। তারা মিছিল নিয়ে নগরীর জিরোপয়েন্ট মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তারা চরম ক্ষুব্ধ। তাদের যৌক্তিক দাবিকে দমিয়ে দিতে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দেয়।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে একই দাবিতে নর্দদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে।
গত এক সপ্তাহ ধরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের মতো খুলনাতেও আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকরা জানান, সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ থেকে শিক্ষকদের বাইরে রাখার দাবিতে ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ ওই কর্মবিরতি নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনা সভা ছিল। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধন করতে সম্মত হন। এটা শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কোনো ব্যানারে আন্দোলন নয়, এই আন্দোলনে শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী ও মো. মনিরুল ইসলাম। মানববন্ধন থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তাঁরা।
এদিকে দুপুরে খুলনা শহরের পাশে জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বেলা সোয়া একটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকার চারটি সড়ক বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা ওই কর্মসূচি শুরু করেন। আজ ওই কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন খুলনার বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে খুলনা মহানগরীর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।
জিরো পয়েন্টে খুলনা-সাতক্ষীরা, যশোর-খুলনা, ঢাকা-খুলনা, মোংলা-খুলনা ও বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বি এল কলেজ, নর্দান ইউনিভার্সিটিসহ খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘ঢাবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন,’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা,’ ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক,’ ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’—এমন নানান স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর বলেন, ‘হামলা-মামলা করে আমাদের থামিয়ে রাখা যাবে না। আমরা ছাত্রসমাজ, আমরা কাউকে ভয় পাই না। সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। আমাদের দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থাকবে না। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক বিচার করতে হবে।’
খুবির আরেক শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। জোর খাঁটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিন্তু অতীতে কেউ পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না। তাই সবাই সাবধান হয়ে যান।’

ট্যাগস :
Translate »

কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত খুলনা

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত খুলনা
শাহাদাত হোসেন নোবেল : (খুলনা)

খুলনার বিভিন্ন মোড় ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও রাজপথে।
গতকাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী আচরণ ক্ষুব্ধ করেছে সমগ্র দেশবাসীকে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনায় জেলা স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, মডেল স্কুলের ছাত্ররা শহরের মেইন রোড সিটি কলেজ গেইট থেকে ময়লা পোতা পর্যন্ত মিছিল করে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন। তারা মিছিল নিয়ে নগরীর জিরোপয়েন্ট মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তারা চরম ক্ষুব্ধ। তাদের যৌক্তিক দাবিকে দমিয়ে দিতে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দেয়।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে একই দাবিতে নর্দদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে।
গত এক সপ্তাহ ধরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের মতো খুলনাতেও আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকরা জানান, সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ থেকে শিক্ষকদের বাইরে রাখার দাবিতে ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ ওই কর্মবিরতি নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনা সভা ছিল। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধন করতে সম্মত হন। এটা শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কোনো ব্যানারে আন্দোলন নয়, এই আন্দোলনে শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী ও মো. মনিরুল ইসলাম। মানববন্ধন থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তাঁরা।
এদিকে দুপুরে খুলনা শহরের পাশে জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বেলা সোয়া একটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকার চারটি সড়ক বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা ওই কর্মসূচি শুরু করেন। আজ ওই কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন খুলনার বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে খুলনা মহানগরীর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।
জিরো পয়েন্টে খুলনা-সাতক্ষীরা, যশোর-খুলনা, ঢাকা-খুলনা, মোংলা-খুলনা ও বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বি এল কলেজ, নর্দান ইউনিভার্সিটিসহ খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘ঢাবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন,’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা,’ ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক,’ ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’—এমন নানান স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর বলেন, ‘হামলা-মামলা করে আমাদের থামিয়ে রাখা যাবে না। আমরা ছাত্রসমাজ, আমরা কাউকে ভয় পাই না। সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। আমাদের দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থাকবে না। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক বিচার করতে হবে।’
খুবির আরেক শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। জোর খাঁটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিন্তু অতীতে কেউ পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না। তাই সবাই সাবধান হয়ে যান।’