মোঃ ইদ্রিস আলী
স্টাফ রিপোটার কালিগঞ্জঃ
কৃষি সমৃদ্ধি এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ ২ মৌসুমে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত ব্রি ধান ৮৭ প্রদর্শনীর নমুনা শস্য শস্য কত্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষকদের পাশাপাশি প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য সকল কর্মকর্তারা ধান কাটার অংশগ্রহণ করেন।
১৫ নভেম্বর বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বেনাদনা গ্রামে শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ধান কাটার শুভ উদ্বোধন করেন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
অনুষ্ঠানে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ওয়াসিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজহার আলী, কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বুলবুল কবির, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মানবিকা শীল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হাসান খান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার অনুজ গায়েন উপজেলা সহকারী শিক্ষক অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ সাংবাদিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী বলেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই কৃষকরা সর্বোচ্চ ভর্তুকি সহযোগিতা পেয়ে অধিক ফসল উৎপাদনে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। শুধু তাই নয় বর্তমান সরকার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে।
তিনি আরো বলেন বিশ্বের বুকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও স্মার্ট প্রযুক্তির কার্যক্রম মডেল হয়েছে। খুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষিতে ও মৎস্য চাষে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা।
পরে কৃষকদের অংশগ্রহণে হাড়ি ভাঙ্গা খেলার প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করেন।
পরে পিঠা উৎসবে অতীতের বিভিন্ন প্রকার পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করান।