ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

কালীগঞ্জের পল্লীতে অপহ্ত ছাএীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন আসামী জেল হাজতে

ইদ্রিস আলী
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ ইদ্রীস আলী,
উপজেলা প্রতিনিধি কালীগঞ্জ সাতক্ষীরাঃ

ঢাকার আজিমপুর থেকে উদ্ধার হওয়া কালিগঞ্জের নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী রবিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দির পর মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গ্রেপ্তার হওয়া আসামী তহমিনা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তাহমিনা খাতুন আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের স্ত্রী।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ওই ছাত্রীর বড়বোনকে গত ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে দেড় ঘণ্টা পর কাকার বাড়ির সামনে ইট সোলিং এর রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১৪ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় থানায় এজাহার দায়ের করেন। যাহা গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় অপহরণকারি শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের ছেলে আশাশুনি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সজিব আহম্মেদ শুভ, অপহরণে সহযোগতাকারি তার বাবা অলিউল্লাহ সরদার, মা তহমিনা খাতুন ও চাচা বড়দল গ্রামের রবিউল ইসলামকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নকীব আহম্মেদ পান্নু শনিবার সকালে ওই অপহৃত ছাত্রীকে ঢাকার আজিমপুরের আসামী রবিউল ইসলামের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। শুভ পালিয়ে গেলে মা তাহমিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় ভিকটিম ও আসামীকে কালিগঞ্জ থানায় আনা হয়।

ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, রবিবার দুপুরে তার মেয়েকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে আনা হয়। এ সময় তিনি মেয়েকে নিজ জিম্মায় নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। জৌষ্ঠ বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে মেয়েকে বিকেল সাড়ে ৫টায় তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ডালিয়া আক্তার জানান, ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার সময় অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। একই সাথে তার সঙ্গে আসামী সজীব আহম্মেদ

শুভ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো বলে জানিয়েছে। জবানবন্দি শেষে ওই ভিকটিমকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তাহমিনা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
Translate »

কালীগঞ্জের পল্লীতে অপহ্ত ছাএীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন আসামী জেল হাজতে

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোঃ ইদ্রীস আলী,
উপজেলা প্রতিনিধি কালীগঞ্জ সাতক্ষীরাঃ

ঢাকার আজিমপুর থেকে উদ্ধার হওয়া কালিগঞ্জের নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী রবিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দির পর মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গ্রেপ্তার হওয়া আসামী তহমিনা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তাহমিনা খাতুন আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের স্ত্রী।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ওই ছাত্রীর বড়বোনকে গত ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে দেড় ঘণ্টা পর কাকার বাড়ির সামনে ইট সোলিং এর রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১৪ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় থানায় এজাহার দায়ের করেন। যাহা গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় অপহরণকারি শ্রীউলা গ্রামের অলিউল্লাহ সরদারের ছেলে আশাশুনি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সজিব আহম্মেদ শুভ, অপহরণে সহযোগতাকারি তার বাবা অলিউল্লাহ সরদার, মা তহমিনা খাতুন ও চাচা বড়দল গ্রামের রবিউল ইসলামকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নকীব আহম্মেদ পান্নু শনিবার সকালে ওই অপহৃত ছাত্রীকে ঢাকার আজিমপুরের আসামী রবিউল ইসলামের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। শুভ পালিয়ে গেলে মা তাহমিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় ভিকটিম ও আসামীকে কালিগঞ্জ থানায় আনা হয়।

ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, রবিবার দুপুরে তার মেয়েকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে আনা হয়। এ সময় তিনি মেয়েকে নিজ জিম্মায় নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। জৌষ্ঠ বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে মেয়েকে বিকেল সাড়ে ৫টায় তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ডালিয়া আক্তার জানান, ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বণ্যা খাতুনের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার সময় অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। একই সাথে তার সঙ্গে আসামী সজীব আহম্মেদ

শুভ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো বলে জানিয়েছে। জবানবন্দি শেষে ওই ভিকটিমকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তাহমিনা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।