কালিয়াকৈরে স্বপদে অধ্যক্ষ সুলাইমান ফিরলেন সাড়ে ৩ বছর পর
- আপডেট সময় : ০১:৫১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে
তুষার আহম্মেদ কালিয়াকৈ(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরইবাড়ী এ,কে, ইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজের অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদার দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর তার কর্মস্থল এ কে ইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ওই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মুশফিকুর রহমান জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে ওই কলেজের নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয়। কিন্তু বরখাস্ত করার ৬০ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের ব্যর্থ হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন এই পদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করায় সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদার এরই মধ্যে হাইকোর্টে রীট করে তার পক্ষে রায় নিয়ে আসেন এবং রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কৌশলী গাজীপুর (জিপি) কর্তৃক আইনগত মতামত প্রেরণ করা হয় ।সেখানেও উল্লেখ করা হয় সাময়িক বরখাস্তাকৃত অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদারকে তার স্বপদে বহাল করার জন্য গভর্নিং বডির সভাপতি কে নির্দেশ প্রদান করা হয় ।তারই আলোকে গত ০২-০৪-২৪ ইংরেজি তারিখে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদার বরাবর প্রেরণ করা হয়। সেখানে অধ্যক্ষ সুলাইমান সিকদারকে চিঠি প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে স্বপদে বহাল হয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি মুশফিকুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ সুলাইমান সিকদারকে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় মহামান্য আদালত তাকে স্বপদে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এবং এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনামা গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর প্রেরণ করা হয়। আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ সকল শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাকে স্বপদে বহাল করার জন্য। আমি শুধু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি মাত্র।
স্বপদে বহালপূর্বক দায়িত্ব গ্রহণ করার পর অধ্যক্ষ সোলায়মান সিকদারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আমি এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে করে দক্ষতা ও সুনামের সাথে কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করে কলেজকে একটি উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গিয়েছিলাম ।পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন বৎসর আমি আমার দায়িত্ব থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল। তবে আমি আমার সেই দায়িত্ব ফিরে পেয়ে প্রমাণ করেছি আমি কোন দুর্নীতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই। তবে এখন থেকে কলেজের সকল শিক্ষক গভর্নিং বডির সভাপতি ও সকল সদস্য, সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম কে গতিশীল করে নেওয়ার জন্য এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভব সব রকম চেষ্টা করে যাবো। এবং সর্বশেষ তিনি আরো বলেন তিনি তার ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।