ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

কালিয়াকৈরে টেন্ডার ছাড়াই নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঙ্গীনার ৯ টি গাছ কর্তনের অভিযোগ।

তুষার আহম্মেদ
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে টেন্ডার ছাড়াই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় ৯টি গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের যোগসাজসে নিয়মবহিঃভূত গাছগুলো কর্তন করে নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মাফিক গাছ না কাটায় কাঠের অপচয় হয়ে সরকারি সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ কর্তনের এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন। কিন্তু তিনি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে ৯টি বড় গাছ কর্তন করে। নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলো কর্তনের আগে টেন্ডার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। আর নিয়ম মাফিক গাছগুলো না কাটায় কাঠের অবচয় হয়ে কাঙ্খিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। আর গাছগুলো কর্তনের বিষয়ে পৃথক বক্তব্য দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস, ঠিকাদার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা কখনো বলছেন, ভবনের কাজে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এবং আবার কখনো বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কেন্দ্র প্রস্তুতের কারণে তড়িগড়ি গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে। ফলে অসৎ উদ্দেশ্যে গাছ কর্তনের বিষয়টি এলাকায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এ খবরটি জানাজানি হলেও টেন্ডারের লক্ষ্যে তড়িগড়ি করে তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে টেন্ডারবিহীন বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে গাছ কর্তনে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলেও এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে টেন্ডারবিহীন গাছ কেটে সরকারের সম্পদের ক্ষতি করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ওই গাছগুলোর জন্য বিল্ডিংয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ৯টি গাছ কেটে জমা রেখেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাছ কাটার বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেছে আমি তাকে বলেছি ঠিকাদারকে দিয়ে গাছ কেটে পরে নিলামে বিক্রি করার জন্য। পরে ঠিকাদার স্কুলের জমি থেকে গাছ কেটে ফেলে রেখেছে। কাটা গাছগুলি পরে নিলামে বিক্রি করা হবে।

ট্যাগস :
Translate »

কালিয়াকৈরে টেন্ডার ছাড়াই নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঙ্গীনার ৯ টি গাছ কর্তনের অভিযোগ।

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে টেন্ডার ছাড়াই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় ৯টি গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের যোগসাজসে নিয়মবহিঃভূত গাছগুলো কর্তন করে নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মাফিক গাছ না কাটায় কাঠের অপচয় হয়ে সরকারি সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ কর্তনের এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন। কিন্তু তিনি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে ৯টি বড় গাছ কর্তন করে। নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলো কর্তনের আগে টেন্ডার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। আর নিয়ম মাফিক গাছগুলো না কাটায় কাঠের অবচয় হয়ে কাঙ্খিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। আর গাছগুলো কর্তনের বিষয়ে পৃথক বক্তব্য দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস, ঠিকাদার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা কখনো বলছেন, ভবনের কাজে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এবং আবার কখনো বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কেন্দ্র প্রস্তুতের কারণে তড়িগড়ি গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে। ফলে অসৎ উদ্দেশ্যে গাছ কর্তনের বিষয়টি এলাকায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এ খবরটি জানাজানি হলেও টেন্ডারের লক্ষ্যে তড়িগড়ি করে তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে টেন্ডারবিহীন বিদ্যালয় আঙ্গীনা থেকে গাছ কর্তনে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলেও এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে টেন্ডারবিহীন গাছ কেটে সরকারের সম্পদের ক্ষতি করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ওই গাছগুলোর জন্য বিল্ডিংয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ৯টি গাছ কেটে জমা রেখেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গাছ কাটার বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেছে আমি তাকে বলেছি ঠিকাদারকে দিয়ে গাছ কেটে পরে নিলামে বিক্রি করার জন্য। পরে ঠিকাদার স্কুলের জমি থেকে গাছ কেটে ফেলে রেখেছে। কাটা গাছগুলি পরে নিলামে বিক্রি করা হবে।