ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা।

তুষার আহম্মেদ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষক বড়ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো ছোট ভাই মজিবর ও তার দুই ছেলে সুমন ও সেজান সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন।গত রবিবার বিকেলে জমিসক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রবিবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুন(৫০) উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের মৃত হাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে।তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে অথনীতি বিভাগের শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে কলেজ শিক্ষক সাইদ আল মামুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মজিবুরর রহমানের জমি সক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।গত রবিবার বিকেলে কলেজ শেষে রেজা সাইদ আল মামুন বাড়ীতে গিয়ে বিকেলে তার জমির আইল ঠিক করছিলেন।এসময় তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান এবং মজিবুর রহমানের দুই ছেলে সুমন রহমান ও সেজাদ রহমান সহ আরও কয়েকজন মিলে ওই কলেজ শিক্ষকের উপর কোদাল,লাঠি দা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে।এতে সে গুরুতর আহত হয়।পরে সাইদ আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নেয়,সেখানেও মজিবুর সেজাদ ও সুমন গিয়ে তাকে ঘর হতে বের হয়ে আসতে বলে হুংকার করে। এসময় কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী হাসিনা বেগম আশেপাশের লোকজন দের কাছে সাহায্য চান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও তার ছেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।স্হানীয়রা সাইদ আল মামুন কে উদ্ধার করে চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি মারা যান। ইতি মধ্যে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নিহতের মেয়ে সুচী আক্তার (১৫)বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।আমি ওদের ফাঁসি চাই।কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন,জমির আইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।নিহতরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এ এফ এম নাসিম জানান,জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে তার ভাই ও ভাতিজারা পিটিয়ে হত্যা করেছে মর্মে জানতে পেরেছি।নিহতের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।এদিকে
ময়না তদন্তের পর গতকাল বিকেলে সাঈদ রেজা আল মামুনের মৃতদেহ তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।সেখানে তাকে তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পড়ে তার জানাজা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।পরে নিহতের নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগস :
Translate »

কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা।

আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষক বড়ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো ছোট ভাই মজিবর ও তার দুই ছেলে সুমন ও সেজান সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন।গত রবিবার বিকেলে জমিসক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রবিবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুন(৫০) উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের মৃত হাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে।তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে অথনীতি বিভাগের শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে কলেজ শিক্ষক সাইদ আল মামুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মজিবুরর রহমানের জমি সক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।গত রবিবার বিকেলে কলেজ শেষে রেজা সাইদ আল মামুন বাড়ীতে গিয়ে বিকেলে তার জমির আইল ঠিক করছিলেন।এসময় তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান এবং মজিবুর রহমানের দুই ছেলে সুমন রহমান ও সেজাদ রহমান সহ আরও কয়েকজন মিলে ওই কলেজ শিক্ষকের উপর কোদাল,লাঠি দা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে।এতে সে গুরুতর আহত হয়।পরে সাইদ আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নেয়,সেখানেও মজিবুর সেজাদ ও সুমন গিয়ে তাকে ঘর হতে বের হয়ে আসতে বলে হুংকার করে। এসময় কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী হাসিনা বেগম আশেপাশের লোকজন দের কাছে সাহায্য চান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও তার ছেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।স্হানীয়রা সাইদ আল মামুন কে উদ্ধার করে চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি মারা যান। ইতি মধ্যে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নিহতের মেয়ে সুচী আক্তার (১৫)বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।আমি ওদের ফাঁসি চাই।কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন,জমির আইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।নিহতরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এ এফ এম নাসিম জানান,জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে তার ভাই ও ভাতিজারা পিটিয়ে হত্যা করেছে মর্মে জানতে পেরেছি।নিহতের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।এদিকে
ময়না তদন্তের পর গতকাল বিকেলে সাঈদ রেজা আল মামুনের মৃতদেহ তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।সেখানে তাকে তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পড়ে তার জানাজা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।পরে নিহতের নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।