ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় বিজয় দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় কাইচাঁন শহীদ জিয়ার সৈনিক ক্লাব উদ্বোধন Logo ভালুকায় বিএনপির আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন Logo খুলনা বিভাগের জুলাই-আগস্ট শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান Logo কটিয়াদীতে কিন্ডারগার্টেনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo কুয়েত সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধির বাতিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার দ্বীতল ভবন নির্মানের জন‍‍্য পরিদর্শন Logo জাফলংয়ে পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন Logo কালিয়াকৈরে ফুটবল খেলায় অতিথি না করায় আয়োজক কমিটির উপর হামলার প্রতিবাদে গ্রাম বাসীর বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত Logo বিরামপুরে মুক্তমঞ্চ’র উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক Logo কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মিল্টন ভূইয়ার লিফলেট বিতরণ

কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা।

তুষার আহম্মেদ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষক বড়ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো ছোট ভাই মজিবর ও তার দুই ছেলে সুমন ও সেজান সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন।গত রবিবার বিকেলে জমিসক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রবিবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুন(৫০) উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের মৃত হাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে।তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে অথনীতি বিভাগের শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে কলেজ শিক্ষক সাইদ আল মামুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মজিবুরর রহমানের জমি সক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।গত রবিবার বিকেলে কলেজ শেষে রেজা সাইদ আল মামুন বাড়ীতে গিয়ে বিকেলে তার জমির আইল ঠিক করছিলেন।এসময় তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান এবং মজিবুর রহমানের দুই ছেলে সুমন রহমান ও সেজাদ রহমান সহ আরও কয়েকজন মিলে ওই কলেজ শিক্ষকের উপর কোদাল,লাঠি দা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে।এতে সে গুরুতর আহত হয়।পরে সাইদ আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নেয়,সেখানেও মজিবুর সেজাদ ও সুমন গিয়ে তাকে ঘর হতে বের হয়ে আসতে বলে হুংকার করে। এসময় কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী হাসিনা বেগম আশেপাশের লোকজন দের কাছে সাহায্য চান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও তার ছেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।স্হানীয়রা সাইদ আল মামুন কে উদ্ধার করে চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি মারা যান। ইতি মধ্যে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নিহতের মেয়ে সুচী আক্তার (১৫)বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।আমি ওদের ফাঁসি চাই।কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন,জমির আইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।নিহতরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এ এফ এম নাসিম জানান,জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে তার ভাই ও ভাতিজারা পিটিয়ে হত্যা করেছে মর্মে জানতে পেরেছি।নিহতের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।এদিকে
ময়না তদন্তের পর গতকাল বিকেলে সাঈদ রেজা আল মামুনের মৃতদেহ তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।সেখানে তাকে তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পড়ে তার জানাজা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।পরে নিহতের নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগস :
Translate »

কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা।

আপডেট সময় : ০৪:৩২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষক বড়ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো ছোট ভাই মজিবর ও তার দুই ছেলে সুমন ও সেজান সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন।গত রবিবার বিকেলে জমিসক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রবিবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুন(৫০) উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের মৃত হাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে।তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে অথনীতি বিভাগের শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে কলেজ শিক্ষক সাইদ আল মামুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মজিবুরর রহমানের জমি সক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।গত রবিবার বিকেলে কলেজ শেষে রেজা সাইদ আল মামুন বাড়ীতে গিয়ে বিকেলে তার জমির আইল ঠিক করছিলেন।এসময় তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান এবং মজিবুর রহমানের দুই ছেলে সুমন রহমান ও সেজাদ রহমান সহ আরও কয়েকজন মিলে ওই কলেজ শিক্ষকের উপর কোদাল,লাঠি দা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে।এতে সে গুরুতর আহত হয়।পরে সাইদ আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নেয়,সেখানেও মজিবুর সেজাদ ও সুমন গিয়ে তাকে ঘর হতে বের হয়ে আসতে বলে হুংকার করে। এসময় কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী হাসিনা বেগম আশেপাশের লোকজন দের কাছে সাহায্য চান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও তার ছেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।স্হানীয়রা সাইদ আল মামুন কে উদ্ধার করে চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি মারা যান। ইতি মধ্যে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নিহতের মেয়ে সুচী আক্তার (১৫)বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।আমি ওদের ফাঁসি চাই।কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন,জমির আইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।নিহতরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এ এফ এম নাসিম জানান,জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে তার ভাই ও ভাতিজারা পিটিয়ে হত্যা করেছে মর্মে জানতে পেরেছি।নিহতের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।এদিকে
ময়না তদন্তের পর গতকাল বিকেলে সাঈদ রেজা আল মামুনের মৃতদেহ তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।সেখানে তাকে তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পড়ে তার জানাজা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।পরে নিহতের নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।