ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান Logo ।ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা Logo পলাশবাড়ীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo লক্ষীপুরে দুর্বৃত্তের হাত থাকে স্বামীকে বাচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূ নিহত Logo বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস Logo গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নালিশি জমিতে ১৪৪ ধারা জারী Logo ডাবল গরু ফুটবল টুর্নামেন্টে জগদলকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাইখ স্পোর্টস বিরামপুর  Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালিতে গৃহবধূ লিজাকে পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা

ঈদে ব্যস্ত সময় পার করছেন খাইটা ব্যবসায়ীরা 

আব্দুল্যাহ আল মাহদী (মোঃ মোস্তফা) বিশেষ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

আব্দুল্যাহ আল মাহদী (মোঃ মোস্তফা) বিশেষ প্রতিনিধি :

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে কোরবানি কেনার পাশাপাশি মাংস কাটার খাইটা বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে অনন্য বছর পিস হিসাবে বিক্রি হলেও এবার তা ভিন্ন, বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে এমনকি পিস হিসাবেও বিক্রি হচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায় নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে এমনকি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইটা। ছোট বড় নানা সাইজের এসব কাইটা কিনছেন কোরবানি দাতারা।

 

উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে কিশোরগঞ্জ দেওয়ানগঞ্জ রোডের বায়তুল মামুদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কাঠ ও খাইটা বিক্রেতা বাদল বেপারী জানান, এবছর ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে ওজন করে তারা কাইটা বিক্রি করেছেন। ওই খাইটা ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের রয়েছে।

 

জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাক জানান তিনি একটি বড় কাইটা কিনেছেন। ওজন হিসেবে ওই খাটার দাম পরল ১০০০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের ইব্রাহিম জানান, গত বছর একটা খাইটা কিনেছিলাম ১০০ টাকায়। অথচ এবারে ওই একই মাপের খাইটাগুলো ওজন করে দোকানী যাচ্ছেন-২৫০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় তিনি না কিনেই চলে যাচ্ছেন।

 

দোকানী বাদল মিয়া, কাইয়ূম, বারিক বেপারীসহ খাইটা বিক্রেতা জানান, ওই খাইটাগুলো তেঁতুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, নিম গাছ, বনোয়া গাছ, কেটে তৈরি করা হয়। অন্য জিনিসের মতো গাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া খাইটা উপযোগী তেতুল গাছ ও নিম গাছ ১৫-২০ বছরের পুরনো হওয়ায় দাম পরে অনেক বেশি। তাই কেজি দরে তারা খাইটা বিক্রি করেছেন।

 

তারা আরো জানান গত ৮-১০ বছর থেকেই কোরবানির ঈদের আগে খাইটা বেঁচেন। গত বছরও প্রায় ৩০০-৪০০ পিস খাইটা বিক্রি করেছিলেন। এবারও ৫০০-৬০০ খাইটা বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।

ট্যাগস :
Translate »

ঈদে ব্যস্ত সময় পার করছেন খাইটা ব্যবসায়ীরা 

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

 

 

আব্দুল্যাহ আল মাহদী (মোঃ মোস্তফা) বিশেষ প্রতিনিধি :

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে কোরবানি কেনার পাশাপাশি মাংস কাটার খাইটা বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে অনন্য বছর পিস হিসাবে বিক্রি হলেও এবার তা ভিন্ন, বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে এমনকি পিস হিসাবেও বিক্রি হচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায় নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে এমনকি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইটা। ছোট বড় নানা সাইজের এসব কাইটা কিনছেন কোরবানি দাতারা।

 

উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে কিশোরগঞ্জ দেওয়ানগঞ্জ রোডের বায়তুল মামুদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কাঠ ও খাইটা বিক্রেতা বাদল বেপারী জানান, এবছর ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে ওজন করে তারা কাইটা বিক্রি করেছেন। ওই খাইটা ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের রয়েছে।

 

জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাক জানান তিনি একটি বড় কাইটা কিনেছেন। ওজন হিসেবে ওই খাটার দাম পরল ১০০০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের ইব্রাহিম জানান, গত বছর একটা খাইটা কিনেছিলাম ১০০ টাকায়। অথচ এবারে ওই একই মাপের খাইটাগুলো ওজন করে দোকানী যাচ্ছেন-২৫০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় তিনি না কিনেই চলে যাচ্ছেন।

 

দোকানী বাদল মিয়া, কাইয়ূম, বারিক বেপারীসহ খাইটা বিক্রেতা জানান, ওই খাইটাগুলো তেঁতুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, নিম গাছ, বনোয়া গাছ, কেটে তৈরি করা হয়। অন্য জিনিসের মতো গাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া খাইটা উপযোগী তেতুল গাছ ও নিম গাছ ১৫-২০ বছরের পুরনো হওয়ায় দাম পরে অনেক বেশি। তাই কেজি দরে তারা খাইটা বিক্রি করেছেন।

 

তারা আরো জানান গত ৮-১০ বছর থেকেই কোরবানির ঈদের আগে খাইটা বেঁচেন। গত বছরও প্রায় ৩০০-৪০০ পিস খাইটা বিক্রি করেছিলেন। এবারও ৫০০-৬০০ খাইটা বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।