ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান Logo ।ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা Logo পলাশবাড়ীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo লক্ষীপুরে দুর্বৃত্তের হাত থাকে স্বামীকে বাচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূ নিহত Logo বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস Logo গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নালিশি জমিতে ১৪৪ ধারা জারী Logo ডাবল গরু ফুটবল টুর্নামেন্টে জগদলকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাইখ স্পোর্টস বিরামপুর  Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালিতে গৃহবধূ লিজাকে পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা

আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট: সিইসি

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হলো দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিতর্কহীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু দেখা গেছে, বিগত কিছু নির্বাচনে কমিশন সে লক্ষের পুরোপুরি সফল হয়নি। বর্তমান ইসির ওপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ পড়েছে। তাই কমিশনের দায়িত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সিইসি বলেন, আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট। সেটি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এজন্য এই কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। আমরা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি এই নির্বাচনের বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগের মাত্রা অতিরিক্ত। নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা- বিতর্ক থাকতে পারে। অতীতে, এমনকি ব্রিটিশ আমলেও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবিল বলে একটা শব্দ আছে। এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।

ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে এটা সম্ভব মন্তব্য করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো ধারণ করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন। এদিক থেকে জবাবদিহিতা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, এটা শুধু অবাধ হবে তা না—এটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে দেখা যেতে হবে।

এসময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি।বক্তব্য রাখার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল।

এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি- এই দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তর্কবিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি।

ট্যাগস :
Translate »

আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট: সিইসি

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হলো দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিতর্কহীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু দেখা গেছে, বিগত কিছু নির্বাচনে কমিশন সে লক্ষের পুরোপুরি সফল হয়নি। বর্তমান ইসির ওপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ পড়েছে। তাই কমিশনের দায়িত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সিইসি বলেন, আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট। সেটি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এজন্য এই কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। আমরা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি এই নির্বাচনের বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগের মাত্রা অতিরিক্ত। নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা- বিতর্ক থাকতে পারে। অতীতে, এমনকি ব্রিটিশ আমলেও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবিল বলে একটা শব্দ আছে। এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।

ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে এটা সম্ভব মন্তব্য করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো ধারণ করে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন। এদিক থেকে জবাবদিহিতা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা, এটা শুধু অবাধ হবে তা না—এটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে দেখা যেতে হবে।

এসময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি।বক্তব্য রাখার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল।

এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি- এই দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তর্কবিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি।