আশুলিয়ায় দম্পতির লাশ উদ্ধার, স্ত্রী–শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে স্বামীর চিরকুট
- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
আরিফ রহমান,আশুলিয়া প্রতিনিধি:
সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় স্বামীর শার্টের পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। এতে স্ত্রীর বড় বোনকে দায়ী করে নিজের কষ্টের কথা লিখেছেন স্বামী।
ঘটনাটি ঘটে আজ সোমবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইউসুফ মার্কেট এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজেও গলায় ফাঁস নেন স্বামী।
মৃতরা হলেন—পটুয়াখালী সদর থানার লোহালিয়া ইউনিয়নের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং বরিশালের আমতলী থানার সোবহান মৃধার মেয়ে মনি ওরফে মনিরা।
মৃতরা হলেন—পটুয়াখালী সদর থানার লোহালিয়া ইউনিয়নের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং বরিশালের আমতলী থানার সোবহান মৃধার মেয়ে মনি ওরফে মনিরা।
চিরকুটে রুহুল আমিন লিখেছেন, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি মো. রুহুল আমিন অতি কষ্টের সাথে জানাই থানা–পটুয়াখালী ও জেলা পটুয়াখালী।
আমতলি নিবাসী ও বাওনা গ্রাম মো. ছোবাহান মৃধার ছোট মেয়ে মনিরার সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের বয়স ৭ মাস। বিয়ের রাত থেকে মনিরার ফোনে ফোন আসতে থাকে।
এই নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জানতে পারি ডিসার সুয়েটারে মনিরা ও তাঁর বড় বোন ফাহিমা চাকরি অবস্থায় বিভিন্ন ছেলের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় দুই বোন।
আমি বাঁধা দিলে তাঁর বোন ফাহিমা বাসায় ডেকে নিয়ে আমাকে ভয় দেখায় যে এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোকে মেরে ফেলব। ফাহিমার স্বামীও জেনে ফাহিমাকে ছেড়ে দিয়েছে।
তারা অনৈতিক কাজ করে টাকা কামাই করে, চাকরি তাদের শো। এবং আমাকে ভয় দেখিয়ে ইউসুফ মার্কেট কাপড়ের দোকান দিতে বাধ্য করায় সেখানে আমার ছয় লক্ষ টাকা নষ্ট করে।
আর আমাকে ভয় দেখিয়ে দুই বোন অনৈতিক কাজ করে পরে আমি জানতে পারি মনিরার আরও ২টা বিয়ে হয়েছে সেখান থেকে মনিরার ছাড়াছাড়ি হয়।
তা আমার কাছে গোপন রাখে, পরে আমি জানতে পারি। ফাহিমার কাছে আমি ২,৫০,০০০ টাকা ধার হিসেবে পাওনা আছি।
টাকা চাইতে গেলে আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে অপমান করে এবং তার বোনকে আটকিয়ে রাখে। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী ফাহিমা, ফাহিমা।
ইতি
মৃত্যু পথের পথিক
আমাকে সবাই ক্ষমা করে দিবেন।’
বাড়ির মালিক রেহানা আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরে দেখি বিছানায় মনির লাশ পড়ে আছে এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে রুহুল আমিন।’
আশুলিয়া থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যা করেই আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। স্বামীর বুক পকেট থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’